ইফতেখার আলম: রাজশাহী নগরীতে নিজের গায়ে আগুন দেয়া সেই কলেজছাত্রী মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারাযান।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্য কমিটির প্রধান পরিচালক আল মাহমুদ ফয়জুল কবীর রাজশাহী এসে পৌঁছেছেন। এবং ওইদিন দুপুরে ঘটনাস্থল সরজমিন পরিদর্শন করেন।
আল মাহমুদ ফয়জুল কবীর বলেন, ওই ছাত্রীর আত্মহননের চেষ্টায় থানা পুলিশের কোনো গাফিলতি রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে। এরই অংশ হিসেবে দুপুরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা শাহ মখদুম থানায় যান।
এছাড়া কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর বনিবনা হচ্ছিল না। বিয়ে নিয়ে পারিবারিক কলহের অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজে যাবেন কমিটির সদস্যরা।
ওই ছাত্রী ও তার স্বামীর শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সাথে কথা বলবেন কমিটির সদস্যরা। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলেও জানান কমিটির প্রাধান আল মাহমুদ ফয়জুল কবীর।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর থানা থেকে বেরিয়ে গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন লিজা রহমান (১৮)। ওইদিন রাতে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
৬৩ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি ছিলেন তিনি। কলেজছাত্রী লিজা রহমান গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রধান পাড়ার আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পালিত মেয়ে।
তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী। তার স্বামীর নাম সাখাওয়াত হোসেন (১৮), তিনি রাজশাহী সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সাখাওয়াত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার খান্দুরা এলাকার খোকন আলীর ছেলে।
গত জানুয়ারিতে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ের করেন তারা। বিয়ের পর থেকেই নগরীর গাঙপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করছিলেন তারা। ঘটনার পর থেকে স্বামী সাখাওয়াত পলাতক রয়েছেন।
মতিহার বার্তা ডট কম ০২ অক্টোবর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.